সোহাগীর খুন, কুমিল্লা সেনানিবাস এবং প্রাসঙ্গিক কথা

গত রবিবার অর্থাৎ ২০ মার্চ তারিখে কুমিল্লা সেনানিবাস এলাকায় কুমিল্লা ভিক্টোরিয়া কলেজের এক ছাত্রীর লাশ উদ্ধার হয়। মেয়েটিকে বলৎকারের পর অত্যন্ত নৃশংস উপায়ে খুন করা হয়। হত্যার ধরণটি খুবই তাৎপর্যপূর্ণ। সোহাগী নামের সেই মেয়েটির উপর এমন অনাবশ্যক নিপীড়ন করা হয়েছে, যা বিশ্লেষণ করলে একে নেহায়েত একটি ‘ওয়াক ইন রেপ’ বলে মনে হয়না। এই পয়েন্টটি খেয়াল রাখার মতো।

যাহোক, অনলাইনে এই ব্যাপারে হেলদোল শুরু হয় আরও পরে। ঘটনাটি আমার গোচরীভূত হয় মঙ্গলবার। তখনও মূলধারার প্রচারমাধ্যমে সোহাগীর কোন খবর আসেনি। মঙ্গলবার স্রেফ অনলাইনে একজন হিজাবী মেয়ের নৃশংস হত্যার ব্যাপারে তথাকথিত প্রগতিশীল ও নারীবাদীদের শীতল মনোভাব নিয়ে কটাক্ষ চলছিলো।

কিন্তু বুধবার, অর্থাৎ গতকাল থেকেই আমার নজরে এলো সোহাগীর ব্যাপারে না হোক, সম্পূর্ণ ভিন্ন একটি বিষয় নিয়ে অনলাইনে নতুন মুদ্দা খাড়া করানো হলো। কিছু পরিচিত ব্যক্তি ও গোষ্ঠীকে সোহাগীর হত্যার পেছনে সেনাবাহিনীকে দায়ী করার চেষ্টা করতে দেখা গেলো। প্রথমে যদিও কেবল সেনানিবাসের নিরাপত্তা নিশ্চিতকরণে সেনাবাহিনীর ব্যর্থতার আরোপ দেয়া হয়েছিলো। দিন গড়াতে গড়াতে দেখা গেলো, অনেকেই বলতে চাইছেন, সেনাবাহিনীই সোহাগীর ধর্ষণ ও হত্যার পেছনে প্রত্যক্ষভাবে দায়ী।

কুমিল্লা সেনানিবাসের ভৌগলিক অবস্থিতি

সেনাবাহিনী এই ঘটনার সাথে প্রত্যক্ষভাবে জড়িত কী না, সেটা নিয়ে কিছু বলা অর্থহীন। তবে সেনানিবাসের নিরাপত্তা বিধানে সেনাবাহিনীর উপর ঢালাও আরোপ দেয়ার আগে আমাদের জানতে হবে কুমিল্লা সেনানিবাস ও এর প্রকৃতি সম্পর্কে। এই সেনানিবাসের সাথে অন্য সেনানিবাসের মূল পার্থক্য হচ্ছে, এর বুক চিরে চলে গেছে ঢাকা-চট্টগ্রাম ও সিলেট-চট্টগ্রাম মহাসড়ক। সিলেট অভিমুখী সড়কটি সেনানিবাসের ভেতরেই চট্টগ্রাম অভিমুখী গ্র্যান্ড ট্রাংক রোডের সাথে যুক্ত হয়েছে। ষ্টেশন সদরদফতর থেকে শুরু করে বেশ কিছু স্থাপনার অবস্থান একেবারেই মহাসড়কের লাগোয়া। সেনানিবাসের মধ্যে অথবা গা ঘেঁষেই রয়েছে বেসামরিক বাজার, আবাসিক এলাকা; যা সেনানিবাসের নিরাপত্তায় বাড়তি ঝুঁকি আরোপ করে। এমন স্থানে বিশেষ নিরাপত্তা প্রদান করা যেমনি দুরূহ, তেমনি তা নিশ্চিত করতে গেলেও বেসামরিক প্রশাসনের সাথে সেনা প্রশাসনের টানাপড়েন শুরু হয়ে যায়। মোটকথা, এই সেনানিবাসে গেট দিয়ে, চেকপোস্ট বসিয়ে যদি নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে যাওয়া হয়, তবে মহাসড়কগুলো যানজটে ফেঁসে থাকবে সর্বদা। যারা এই বিষয়টা সম্পর্কে অবগত, তারা নিরাপত্তার শৈথিল্যের জন্য সেনাবাহিনীকে দায়ী করার আগে দুইবার ভাববে।

কুমিল্লা সেনানিবাস নামে সমধিক পরিচিত ময়নামতি সেনানিবাস প্রথম স্থাপিত হয় ১৯৪৩ সালে কুমিল্লা শহর থেকে খানিকটা উত্তরপশ্চিম দিকে। এটি স্থাপিত হয়েছিলো দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময় দক্ষিণপূর্ব এশিয়ায় জাপানের বিরুদ্ধে মিত্রশক্তির যুদ্ধ প্রচেষ্টায় মোতায়েন করা ব্রিটিশ চতুর্দশ আর্মির প্রধান সেনাপতি জেনারেল উইলিয়াম স্লিমের সদর দফতর হিসেবে।

যুদ্ধের পর এই সেনানিবাস কার্যত বিরানই পড়ে থাকে। ১৯৪৭ সালে পূর্ববঙ্গের প্রধান সেনাধ্যক্ষের দায়িত্বে থাকা পরবর্তীতে পাকিস্তানের প্রেসিডেন্ট ফিল্ড মার্শাল মুহম্মদ আইয়ুব খানের ‘ফ্রেন্ডস নট মাস্টার্স’ বই থেকে জানা যায়, পাকিস্তান আমলের শুরুর দিকেও কুমিল্লা সেনানিবাস সম্পর্কে তিনি ভাবেন নি। তিনি বরং ঢাকার উত্তর দিকে রাজেন্দ্রপুরেই নতুন সেনানিবাস গঠনের উদ্যোগ নেন। পাকিস্তান আমলের শেষের দিকে ময়নামতিতে প্রথম একটি সেনাদল মোতায়েন করে পাকিস্তান। তবে এটি একটি ক্ষুদ্র লাইট ইনফ্যান্ট্রি ইউনিটের চেয়ে বেশি কিছু ছিলোনা।

বাংলাদেশ স্বাধীন হবার পর প্রথমে ময়নামতি সেনানিবাসে বাংলাদেশ মিলিটারি একাডেমী স্থাপন করা হয়। তবে ১৯৭৬ সালে জেনারেল জিয়াউর রহমান ময়নামতি থেকে মিলিটারি একাডেমী সরিয়ে নিয়ে রক্ষীবাহিনী থেকে উদ্ধার করা ভাটিয়ারীতে তা স্থানান্তর করেন। এভাবেই কুমিল্লায় গড়ে ওঠে আজকের ৩৩ পদাতিক ডিভিশন।

আমি কুমিল্লা জেলারই সন্তান। ছোটবেলা থেকেই কুমিল্লা সেনানিবাস সম্পর্কে অনেক অলীক শিশুতোষ গল্প শুনেছি। যেমন, বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর সব গোলাবারুদ নাকি এই সেনানিবাসে মাটির নিচে ভল্টে সংরক্ষণ করা হয়। এখানে এমন সংখ্যক বারুদ আছে, যা দিয়ে নাকি পুরা কুমিল্লা শহর উড়িয়ে দিয়ে একটি প্রকাণ্ড দীঘির জন্ম হতে পারে!

কুমিল্লা সেনানিবাসের কৌশলগত বিশেষত্ব

তবে নানান গাঁজাখুরি গল্পের যোগান দিলেও কুমিল্লা সেনানিবাস সম্পর্কে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ যে তথ্য বেশিরভাগেরই অজানা তা হচ্ছে, আন্তর্জাতিক সীমান্ত থেকে মাত্র পাঁচ মাইল দূরে অবস্থিত এই সেনানিবাসই বাংলাদেশের একমাত্র আক্রমণাত্মক সামরিক স্থাপনা। বাকি সব সেনাছাউনি সীমান্ত থেকে দূরে, মূলত রক্ষণাত্মক অবস্থানে অবস্থিত। বলা বাহুল্য, সীমান্তের লাগোয়া একটা আস্ত পদাতিক ডিভিশন পাক-ভারত সীমান্তে দেখা যায়, কারণ সেই সীমান্তে সবসময়ই যুদ্ধাবস্থা বিরাজ করে। সীমান্তের এতো কাছে এতো বড় সেনাদল রাখা এমনিতেও দুনিয়াতে বেশ কমই দেখা যায়। আর এটাই কুমিল্লা সেনানিবাসের মূল কৌশলগত গুরুত্ব।

সম্ভবত এই কারণেই, বাংলাদেশের অন্য যেকোনো সেনানিবাসের তুলনায় ময়নামতি সেনানিবাসে অন্তর্ঘাতমূলক ঘটনা ঘটেছে সবচেয়ে বেশি। সেনানিবাস আর ভারতের প্রায় মাঝামাঝি বয়ে চলেছে গোমতী নদী। পাকিস্তান আমল থেকেই প্রায়শই বর্ষার সময় সেনানিবাস লাগোয়া গোমতী নদীর বাঁধ কোন কারণ ছাড়াই কেটে যেতো, যাতে পাহাড়ের উপর স্থাপিত ক্যান্টনমেন্ট না হলেও এর চারিদিক প্লাবিত হয়ে যাতে এটি ক্ষতিগ্রস্ত হয়। বিগত শতাব্দীর শেষ দিক পর্যন্ত বর্ষা এলেই নদীর বাঁধ ভেঙ্গে যাবার এই সিলসিলা জারী ছিল। কুমিল্লা শহরের বেশিরভাগ তরুণের হয়তো এই তথ্য জানা নেই।

সেনানিবাসের নিরাপত্তা সংহত করতে আগে গৃহীত ব্যর্থ পদক্ষেপ

আগেই লিখেছি, কুমিল্লা সেনানিবাস অন্যান্য সেনানিবাসের চেয়ে অধিক পরিমাণে বেসামরিক আবাদি দ্বারা ঘিরে আছে। নিয়ম অনুযায়ী, সেনানিবাসের নিজস্ব এলাকা তো বটেই, তার চতুর্দিকেও দেড়শ গজ চওড়া জমি চ্যাপ্টার্ড এরিয়া হিসেবে খালি রাখতে হয়, যাতে যুদ্ধ বা শান্তিকালীন উভয় সময়েই সেনানিবাসের নিরাপত্তা সংহত রাখা সম্ভব হয়। গত শতকের শেষের দশকে সেনানিবাসের সীমানা নির্ধারণ বিষয়ে নিষ্পত্তির জন্য উচ্চ আদালতে মামলা চলমান ছিল। ২০০০ সালে এই মামলায় সেনাবাহিনী জয়লাভ করলে সেনানিবাসের চারিদিকে চ্যাপ্টার্ড এরিয়া সহ নিরাপত্তা সংহত করার কাজ শুরু হয়। এর জন্য সেনানিবাসের ফটকসমূহ রাত বারোটার পর বন্ধ করে দেয়ার সিদ্ধান্ত নেয়া হয়।

কিন্তু এই সিদ্ধান্ত প্রবল বাঁধার সম্মুখীন হয়। বেসামরিক লোকজন এ নিয়ে হাঙ্গামা শুরু করে। তৎকালীন জিওসির কার্যালয়ের সামনে জড়ো হয়ে প্রতিবাদ ও দুয়োধ্বনিও চলে। পরিস্থিতি বেগতিক হয়ে পড়লে খোদ তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী হাসিনা ওয়াজেদকে এতে হস্তক্ষেপ করতে হয়। এক পর্যায়ে সাধারণ জনগণের বাঁধার মুখেই সেনা কতৃপক্ষ বাধ্য হয় সেনানিবাসের প্রার্থিত নিরাপত্তা শিথিল করতে।

এরপর ২০১০-১১ সালেও ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়ক চওড়া করার সময় বেসামরিক ও সামরিক প্রশাসনের মধ্যে চাপানউতোর হয়। সেনাবাহিনী বিকল্প প্রস্তাব হিসেবে সেনানিবাসে ভারী যানবাহন ও জনগণের গমনাগমন কমাতে সেনানিবাসের দুই দিকে দিয়ে মহাসড়ক টানার প্রস্তাব করেছিলো।

একটি ভিন্নমতাবলম্বী বিশ্লেষণ

যাহোক, এতো কিছুর পরও সোহাগী হত্যাকাণ্ডই এখানে আলোচ্য মূল বিষয়। আমি আগেই বলেছি, সোহাগীকে হত্যার ধরণ, হত্যাকে কেন্দ্র করে সংঘটিত সংঘবদ্ধ প্রতিক্রিয়ার ধাঁচে তাৎপর্যপূর্ণ কিছু বিবেচ্য বিষয় আছে। প্রথমত, সোহাগীর লাশ সেনানিবাসের এলাকাতে পাওয়া গেলেও তাকে সেনানিবাসেই খুন করা হয়েছে কিনা, সে ব্যাপারে কিছু জানা যায়না। যতদূর জানি, সোহাগীর লাশ সেনানিবাসের অভ্যন্তরের কোন সংরক্ষিত এলাকা থেকে উদ্ধার করা হয়নি, বরং সর্বসাধারণের জন্য উন্মুক্ত এক রাস্তায় এক কালভার্টের নিচে পাওয়া গেছে। যদি এর সাথে সেনাবাহিনীর কেউ জড়িত থাকতো, তাহলে প্রথমত লাশ খুঁজেই পাওয়া যেতো না, এবং দ্বিতীয়ত, যদি খুঁজেও পাওয়া যেতো, তবে এমন কোন স্থানেই তা পাওয়া যেতো, যেখান থেকে সেনাবাহিনী বা সেনানিবাসের গায়ে আঁচড় লাগার সুযোগ সৃষ্টি না হয়।

সোহাগীর বিষয়ে সেনাবাহিনীর নীরবতা কি রহস্যময়?

যারা সোহাগীর বলৎকার ও খুনের ঘটনায় সেনাবাহিনীকে অভিযুক্ত করছে, তাদের সবাই এক্ষেত্রে মূল প্রতিপাদ্য হিসেবে এই ঘটনার বিষয়ে সেনাবাহিনীর নীরবতার দিকে ইঙ্গিত করছে। যদি নিজেদের অপকর্ম ঢাকতে সেনা কতৃপক্ষ নীরবতার আশ্রয় নিতো, তাহলে আমি তাকে একটি পেশাদার বাহিনীর চরম অপেশাদার আচরণ হিসেবেই ধরে নিতাম। কিন্তু আমার সাধারণ কাণ্ডজ্ঞান অনুযায়ী এধরণের কাঁচা কাজ তারা করতো না। বস্তুত, সামরিক বাহিনী গণযোগাযোগের দিক থেকে যথেষ্ট কাঁচা। এর কারণ নিহিত আছে আমাদের সেনাবাহিনীর রক্তাক্ত ইতিহাসে। পৃথিবীতে এখনও টিকে থাকা আধুনিক জাতীয় সেনাবাহিনীসমূহের মধ্যে খুব কম সেনাবাহিনীই বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর মতো এমন রক্তপাত অতিক্রম করতে পেরেছে। বিগত শতকের সত্তুরের দশকের পুরোটাই এই বাহিনী আত্মঘাতী বিদ্রোহ, অভ্যুত্থান ও প্রচুর অনাকাঙ্ক্ষিত রক্তক্ষয়ের মধ্য দিয়ে অতিক্রম করেছে।

এমনিতেই প্রকৃতিগতভাবে সামরিক বাহিনী গণযোগাযোগের দিক থেকে অপেক্ষাকৃত অনুদার। তার উপর অতীতে এতো রক্তক্ষয়ী অভ্যুত্থান সামলাতে গিয়ে সেনাবাহিনীর মধ্যে গণযোগাযোগ এড়িয়ে যাবার সাধারণ প্রবণতা দেখা যায়। এছাড়াও বেসামরিক শাসনের সময় যথাসম্ভব নিজেদের বাইরের জগত থেকে বিচ্ছিন্ন রাখার প্রবণতাও সেনাবাহিনীর এই নীরবতার পেছনে দায়ী। গণযোগাযোগের কৌশল সম্পর্কে ধারণাগত সীমাবদ্ধতার কারণেই সেনা সদর থেকে কিছু ব্যক্তি ও প্রচারমাধ্যমকে কুমিল্লা সেনানিবাসের ঘটনায় সংযম অবলম্বনের জন্য সেনা সদর থেকে পরামর্শ দেয়া হয়েছে।

বাইরের কোন কারণ কি জড়িত থাকতে পারে?

এমনও হতে পারে, সোহাগীর খুন আসলে পুরো দৃশ্যপটে একটি গৌণ ও সহযোগী বিষয়। দুই দিন আগেও পত্রিকায় দেখলাম, প্রায় ৯২ বছরের পুরানো সামরিক বিধি বদলে সেনানিবাসের স্থাবর সম্পত্তির উপর সামরিক কতৃপক্ষের বদলে বেসামরিক কতৃপক্ষের নিয়ন্ত্রণ আরোপ করার বিষয়ে একটি আইনের খসড়া সশস্ত্র বাহিনীর আপত্তির মুখে মন্ত্রীসভা ফিরিয়ে দিয়েছে। এই আইন বলবত হলে সেনানিবাসসমূহের ভূসম্পত্তির উপর সামরিক ভূমি ও সেনানিবাস অধিদফতর এবং ক্যান্টনমেন্ট বোর্ডসমূহের নিয়ন্ত্রণ কমে যাবে। এই উদ্যোগের পেছনে কে দায়ী, সেটা না জানা গেলেও সরকার এটির নথি ফিরিয়ে দিয়ে উচিত কাজই করেছে।

আমার প্রশ্ন হচ্ছে, সেনানিবাসের নিরাপত্তাকে প্রশ্নবিদ্ধ করে মানুষের মনে সেনাবাহিনী সম্পর্কে বিরূপ ধারণার জন্ম দিয়ে এই আইন গ্রহণে সরকার বা সামরিক বাহিনীকে মনস্তাত্ত্বিক চাপ প্রয়োগ করা, এবং ক্ষেত্রবিশেষে মানুষের সমর্থন ছিন্ন করিয়ে বাড়তি ফায়দা লাভের উদ্দেশ্যে কি সোহাগী হত্যার প্রসঙ্গকে কাজে লাগানো হচ্ছে?

উপসংহার

সোহাগীর খুনের সামনে-পেছনের অমীমাংসিত বিষয় নিয়ে আমার ধারণা দিলেও এই বিষয়ে খোদ আমি নিজেই নিশ্চিত নই। তবে এই বিষয়ে আমি নিঃসন্দেহ, যে এই হত্যার বিচার হতে হবে। ফুটফুটে মেয়েটি বয়সে আমার ছোট বোনের মতো। যে বা যারা এর জন্য দায়ী, তার চূড়ান্ত শাস্তি ছাড়া আর কোন কিছু আমার কাম্য হতে পারেনা। তবে উপরিউক্ত বিষয়সমূহ মদ্দেনজর করলে আমার একটা আশা থাকবে যে, আমরা সাধারণ মানুষ যেন এই হত্যাকাণ্ডের উসিলায় আরেকটি আত্মঘাতী কদম না ফেলি। একটি ফুটফুটে মেয়ের খুনের বদলা যেন কোনোভাবেই জাতীয় প্রতিরক্ষার জন্য অত্যন্ত কৌশলগত একটি সেনানিবাস তথা সেনাবাহিনীর বিরুদ্ধে হিতাহিত জ্ঞানশূন্য কোন লিঞ্চিং মবে পরিণত না হয়। যাদের জন্য বিদেশে বাংলাদেশ বিরলতম কিছু সম্মান, শ্রদ্ধা ও মর্যাদায় ভূষিত হয়েছে, যার মধ্যে রয়েছে বাংলাকে একটি দূরদেশ কতৃক সম্মানসূচক রাষ্ট্রভাষার মর্যাদা প্রদান; তারা আমাদের কাছে ন্যূনতম দায়িত্ববোধ প্রত্যাশা করতেই পারে।

যখন আমি এই লেখার মুসাবিদা করছি, তখন ক্যালেন্ডারের পাতায় এসেছে ২৫ মার্চ। এই রক্তস্নাত দিনের কসম, আমাদের বুঝতে হবে, পাকিস্তান সেনাবাহিনী আর বাংলাদেশ সেনাবাহিনী কোনোভাবেই এক নয়। যারা এমন তত্ত্ব প্রচার করে, তাদের সদুদ্দেশ্য সম্পর্কে আমার ভরপুর সন্দেহ আছে। সেনাবাহিনী দেখলেই নাক উঁচু করা তাদের সাজে, যাদের সাথে সেনাবাহিনীর গোষ্ঠীগত বিবাদ রয়েছে। একজন তরুণ, কিংবা বিশ্ববিদ্যালয়ের একজন ছাত্রের সাথে সেনাবাহিনীর কোন গোষ্ঠীভিত্তিক দ্বন্দ্ব থাকতে পারে না। বরং তরুণদের থাকতে হবে একটি সচেতন ও সচল বর্ম হিসেবে, যা বর্মে রাষ্ট্রবিরোধী যেকোনো প্রচেষ্টা প্রতিহত করবে।

ব্যক্তিগতভাবে আমি কোন দিক থেকেই সেনাবাহিনীর সুবিধাভোগী নই। আমার তেমন কোন রক্ত সম্পর্কীয় আত্মীয়স্বজনও সামরিক বাহিনীতে কর্মরত নেই, যে আমি গোষ্ঠীগত স্বার্থের দ্বারা প্রভাবিত হয়ে সেনাবাহিনীর পক্ষে ওকালতি করতে নেমেছি। আমি বাংলাদেশকে মধ্যযুগে আড়াই শতাব্দী যাবত বলবত সমৃদ্ধশালী স্বাধীন বাংলা সালতানাতের ভাবগত উত্তরসূরি হিসেবেই দেখি। আমার এই দৃষ্টিকোণ একজন পুনরুজ্জীবনবাদীর দৃষ্টিকোণ। একজন পুনরুজ্জীবনবাদী হিসেবে নেহায়েত দেশপ্রেমের বশবর্তী হয়েই আমি এই দীর্ঘ আলোচনাটির অবতারণা করলাম…।

62 thoughts on “সোহাগীর খুন, কুমিল্লা সেনানিবাস এবং প্রাসঙ্গিক কথা

  1. আচ্ছা…আপনার লেখাটা পড়লাম। বেশ তথ্যসমৃদ্ধ লেখা। কিন্তু আপনার প্রতি শ্রদ্ধা রেখেই বলছি আপনি কিছু লেইম যুক্তি দিয়েছেন এখানে। অনেকগুলোর কথা বলা যায়। কয়েকটা বলছি। প্রথমত সেনানিবাসের আশেপাশে বেসামরিক বাজার ও বসতির কথা উল্লেখ করেছেন। আবার বলেছেন যে জায়গায় তনুর লাশ পাওয়া গেছে সেটা সর্বসাধারণের জন্য উন্মুক্ত একটি স্থান। আমার মতে সেনানিবাসের প্রতিটি ইঞ্চির নিরাপত্তার দায়িত্ব সেনাবাহিনীর। আর বাইরের কেউ সেনানিবাসের ভেতরে ঢুকতে চাইলেও তাকে ভ্যালিড রিজন দেখিয়ে ঢুকতে হয় এবং গেইটে সেনাবাহিনী তার নাম এন্ট্রি করে রাখে। আমি বলছি না এ ঘটনার সাথে সেনাবাহিনীর কেউই জড়িত। তবে যেহেতু ঘটনার স্থানটা সেনানিবাসে, তাই অবশ্যই এখানে সেনাবাহিনীর দায় দায়িত্ব আছে। আর বাইরে থেকে মেয়েটাকে রেপ করে খুন করে সেই লাশ সেনানিবাসের ভেতরে রেখ যাবে, এমন কলিজা কার আছে? সেখানে যেসব কারণে নিরাপত্তা ব্যাবস্থা ‘শিথীল’ করা হয়েছে বলে আপনি বলেছেন, তাই বলে কী তা এতটাই শিশীল যে বাইরে থেকে আস্ত একটা লাশ কেউ ভেতরে রেখে যাবে? আর তনুর লাশটা একেবারে তাজা ছিল। তাকে মারার কিছুক্ষনের মধ্যেই লাশ পাওয়া গেছে। তাই বাইরে থেকে কেউ লাশ এনে সেনানিবাসে রেখে গেছে, এটা গ্রহণযোগ্য মনে করি না। হম. এটা জানি যে সেনাবাহিনী ইচ্ছাকৃতভাবেই গণযোগাযোগে কাঁচা। কিন্তু সেনাবাহিনীর অন্যসব বিষয়ে চুপ থাকা নিয়ে কিন্তু আমরা জানতে চাই না। এত বড় একটা ঘটনা ঘটরা পরও সেনাবাহিনীর এ ‘গণযোগাযোগে কাঁচা’ টার্মটা সত্যিই নিতে পারতেছি না। তারা সংযম অবলম্বনের যে পরামর্শ দিয়েছে সেটিও আমার কাছে ভালো লাগেনি। অাপনি দেখেন এত প্রতিক্রিয়া হচ্ছে সারা দেশে, তা সত্বেও সবাই নিরব। আর সংযম দেখালে সবাই চুপ করে থাকলে কিছু একটা হয়ে যাবে? আমি সেটা বিশ্বাস করি না। সেনাবাহিনী অবশ্যই বলতে পারত যে বিষয়টি আমাদের নজরে আছে। আমরা সম্ভ্যাব্য সব ব্যাবস্থা নিচ্ছি। এ নরমাল কথাটা পর্যন্ত সেনাবাহিনীর পক্ষ থেকে বলা হচ্ছে না। একেবারে নিশ্চুপ!!!

    1. দেখেন, সেনাবাহিনী যদি কোন ক্রাইম করে তা লুকানোর চেষ্টা কররে, তাহলে কি সাধারণ মানুষের পক্ষে তা ট্রেস করা সম্ভব?
      ১৯৭৫ সালে ঠিক কোন অফিসার বঙ্গবন্ধুকে গুলি করেছিলো সেটা জানা কঠিন নয়।

      জিয়াউর রহমানের বিরুদ্ধে বহু আর্মি হত্যার কেবল অভিযোগই আনা হয়। কিন্তু জেলে ফাঁসীতে মৃত ছাড়া বাকিদের কোন হদিস মিলেছে? জিয়াকে হত্যার পর তার লাচ লুকিয়ে ফেলা হয় রাঙ্গুনিয়ার পাহাড়ের চিপায়। জেনারেল মঞ্জুরকে ধরার পর যখন যানা গেলো জিয়ার লাশ কোথায়, তখনই কেবল তা উদ্ধার করা গেছিলো।

      আমি বলছি না আর্মি সবক্ষেত্রে ভালো। আজ পর্যন্ত টিআইবিও কোন সলিড প্রমাণ দিতে পারেনি সেনা প্রশাসনে সন্দেহভাজন কোন দুর্নীতি বিষয়ে। তারা হচ্ছে রাষ্ট্র কতৃক নিযুক্ত পেশাদার খুনীর মতো। আপনার কি মনে হচ্ছে, তারা খুন করবে আবার নিজেদের ফাঁসিয়ে দেয়ার জন্য লাশ নিজেদের এলাকায় রেখে আসবে? আপনি যদি তাই মনে করেন, তাহলে আপনি কিভাবে সেনাবাহিনী দক্ষতায় আস্থা রাখতে পারেন!

      বস্তুত যদি এটা সেনাবাহিনীর কাজ হতো, তাহলে তারা অবশ্যই লাশটাকে গুম করতো। অথবা এমন স্থানে ফেলে আসতো, যেখান থেকে কেউ কিছু বুঝতো না। এবং এই কাজটা করা তাদের মতো পেশাদারের জন্য কোন বিষয় হতো না।

      দ্বিতীয়ত, আমার দুঃখ হচ্ছে যে আমার লেখা আপনি বুঝতে পারেননি। কুমিল্লা সেনানিবাসের এতো বর্ণনা আমি অর্থহীনভাবে বা নিজের জ্ঞান জাহির করতে দেইনি। আমি এজন্যই বর্ণনা করেছি, যাতে আপনি বুঝতে পারেন এই ক্যান্টে জাহাঙ্গীর গেটের মতো আইডি চেক করে মানুষ ঢুকাতে গেলে মহাসড়ক অচল হয়ে যাবে। কুমিল্লা ক্যান্ট ভিন্ন প্রকৃতির। এখানে মিলিটারী পুলিশের ভূমিকাও অন্য স্থানের চেয়ে আলাদা।

      তৃতীয়ত, আপনি বুঝতে পারেননি যে বাইরের কেউ ভেতরে ঢুকতে পারে কিনা। আমি আবারও হতাশ হলাম। আমি গোমতী নদীর বাঁধ কেটে দেয়া এবং এই সেনানিবাসকে ঘিরে ঘটা অন্তর্ঘাতমূলক ঘটনার উল্লেখ এজন্যই করেছিলাম, যাতে এটা সবার বোধগম্য হয় যে, চুরি করে সেনানিবাসে ঢুকে পড়ার মততো পেশাদার লোক আছে। তাদের অনেকেই ধরা পড়ে, অনেকে পড়েনা।

      চতুর্থত, সেনাবাহিনীর গণযোগাযোগকে যদি আপনি ডিএমপি বা র‍্যাবের মিডিয়া উইংয়ের মতো ভাবেন তবে ভুল করবেন। প্রতিটি সেনাবাহিনীই ইনক্লুসিভ সংস্থা। আর যখন বিষয়টা কোন স্যাবোটাজ হয়ে থাকে, তাহলে তো তারা মুখে আরো বেশি কুলুপ আঁটবে। একটা বেসামরিক সরকারের সময় আর্মিকে যতো সম্ভব পাবলিক ফাংশন থেকে দূরে রাখা হয়। এমতাবস্থায় সে কি পাবলিক সিমপ্যাথির জন্য মিডিয়ায় চেঁচাবে, নাকি নীরব হয়ে অন্তরালে কাজজ করবে?

      ধরেন, আপনার সাথে আমার শত্রুতা। এটা তৃতীয় আরেক পক্ষও জানে। এখন এই শত্রুতার জের ধরে যদি তৃতীয় ব্যক্তি আপনার বাড়ি থেকে ছাগল চুরি করে তার মাথা কেটে আমার উঠানে ফেলে চিৎকার করতে থাকে যে, আমিই ছাগল চোর, তাহলে তার সাথে সুর মেলানো কি উচিত কাজ?

      1. আপনার কাছ থেকে ভাল কিছু তথ্য পেলাম। তবে আপনার এই কথাটার সাথে আমি একমত না। (বস্তুত যদি এটা সেনাবাহিনীর কাজ হতো, তাহলে তারা অবশ্যই লাশটাকে গুম করতো। অথবা এমন স্থানে ফেলে আসতো, যেখান থেকে কেউ কিছু বুঝতো না। এবং এই কাজটা করা তাদের মতো পেশাদারের জন্য কোন বিষয় হতো না।) আপনি সম্পূর্ণ ক্যান্টনমেন্ট কে নিয়ে না ভেবে কিছু সংখ্যক খারাপ মানুষকে নিয়ে ভেবে দেখুন। আপনার মস্তিষ্ক আমার চাইতে উত্তম হতে পারে।

      2. এখানে আমার ভাষা অস্পষ্ট ছিলো। আমি সেনাবাহিনী বলতে সে বাহিনীর কতিপয় সম্ভাব্য কুচক্রীর কথাই বুঝিয়েছি। ট্রেনিং তো তাদেরও আছে।

  2. এ পাপবিদ্ধ নগরীতে আমার মৃত্যু শোভাযাত্রা,
    আমি নিজেকে আর একবার মরে যেতে দেখি ৷
    তনুরা মরেনা
    শুধু মরে যাই আমরা
    মরে যায় কাপুরূষেরা ৷

  3. আমরা সবাই এই হত্যার বিচার চাই। আরও চাই আগামীতে এ জাতি কখনও যেন এমন বিভৎসতার মুখোমুখী না হয়। এজন্য কাল্পনিক কোন ব্যবস্থা নয়, বরং অতীতে পৃথিবীতে মানুষ এমন অবস্থা দেখেছে যেখানে ধর্ষণ তো দুরের কথা , তার আশেপাশে যাওয়ার চিন্তাও চিন্তার উৎসমূখে বিলীন হয়ে যেত, সেই ব্যবস্থাকে প্রয়োগ করার অনুরোধ রইলো। আর বিতর্কের জন্য নয় বরং বুঝতে হবে সত্য উদঘাটনে কিছুটা সময় প্রয়োজন। আমরা কি পেরেছি এত লম্বা সময়েও সাগর রুনির হত্যার কুল কিনারা করতে? আমি একজন সেনাসদস্য (অবঃ) হিসেবে অনুমান করতে পারি সেনাবাহিনীর তরফ থেকে এই ঘটনার ব্যাপারে অনুসন্ধান শুরু হয়ে গেছে। শুধু তাই নয় ঔদিনের দ্বায়িত্ব রত সদস্যরা কি ধরনের প্রশাসনিক চাপে আছেন তাও অনুমান করা যায়। সেনাবাহিনীর একটা আভ্যন্তরীন চরিত্র হলো কেউ অপরাধ করলে তার পরম বন্ধুও তার কাছে যেতে নিরুৎসাহিত বোধ করে। ফলে এখানে জোট পাকিয়ে বেচে যাওয়ার সুযোগ শুন্যের কোঠায় বলা চলে। তাছাড়া এধরনের অপরাধে তাৎক্ষনিক কোন অপরাধীর জন্ম খুব কমই পাওয়া যায়। পূর্ব পরিচয়ের, এমনকি পরিনয়ের সুত্রও আনকমন নয়। আমাদের কিছু জানানো ছাড়াই যদি অপরাধী চিহ্নিত, গ্রেফতার এবং বিচারের কাঠগড়ায় দাড় করানো হয় কোন আপত্তি নেই। আমরা বিচার চাই দৃষ্টান্ত মূলক।

  4. ভাই লাশ সংরক্ষিত এলাকাতেই পাওয়া গেছে। আমার বাসা থেকে ১০০ গজ দূরে। তবে সেনাবাহিনীরর সম্পৃক্ততার বিষয়ে আপনার সাথে একমত।

    1. সংরক্ষিত এলাকা বলতে আমি কি বুঝাতে চেয়েছি তা সম্ভবত আপনি বুঝতে পারেননি। আপনি ঢাকা সেনানিবাসে সেনা সদর ও বিমান সদরের সামনের রাস্তা দিয়ে ব্যক্তিগত গাড়ী নিয়ে যেতে পারবেন। তারমানে কি সেই স্থানগুলো সংরক্ষিত নয়? আমি ‘সংরক্ষিত’ বলতে যা বুঝিয়েছি, তা হচ্ছে এমন কোন স্থান যেখানে অথরাইজড লোক ছাড়া সাধারণ মানুষের প্রবেশাধিকার নেই। সোহাগীকে যেখানে পাওয়া গেছে, সেখানে আমিও কয়েক বছর আগে গিয়েছি। তখন বিশেষ কোন বাঁধা পাইনি।

  5. শুধুমাত্র ঘটনাটা সেনানিবাসে সনাক্ত হয়েছে বিধায়ই তর্ক টা পুরো সেনাবাহিনীকই দোষারোপ করে ওঠানো উচিত না। কিন্ত একটা তরতাজা প্রাণ হরন করল কেও ধর্ষন করে তাদের আয়তনের মাঝে অথবা আউট সাইড অকারেন্সও হতে পারে যা তদন্ত সাপেক্ষ,সেখানে দেশের অন্যতম একটা ক্ষমতাধর সসস্ত্রবাহিনীর ভূমিকা হওয়া উচিত সহায়ক এবং তেজউদ্দীপ্ত।কত সাধারন মানুষই প্রতিবাদী হয়ে উঠেছে এত বিভৎস ঘটনায় সেখানে স্বাভাবিক ভাবেই সেনাবাহিনীর উদাসিনতা অথবা শিথিলতা কাম্য নয়।সাধারন ভাবেই তো তাদের ধর্ষককে পাকরাও করে কঠিন থেকে কঠিন শাস্তির ব্যবস্থা করা উচিত।কিন্তু হচ্ছেনা,জানিনা এটা বাংলাদেশ বলেই কিনা।এজন্যই সেনাবাহিনীর প্রতি হতাশা দেখা যাচ্ছে।তাদের মত ক্ষমতাধর সংঘ ইচ্ছা করলেই তদন্ত অনেক সহজ করে দিতে পারে।আর ধর্ষক এবং খুনী যদি সেনাবাহিনীর ও হয়ে থাকে তাতে কোন একক ব্যাক্তি বা গুটি কয়েক ব্যাক্তির জন্য পুরো গঠিত এবং দেশের প্রতিরক্ষার জন্য সৃষ্ট বাহিনী কে দোষ দেয়া অবান্তর কিন্তু প্রশ্নটা এখানে নয় যে কে করেছে এটা নিয়ে অনুমান নির্ভর সামরিক ববা বেসামরিক একে অপরকে দোষারোপ ছোরাছুরি।বরং যেই করুক তাকে খুজে বের করা এবং বিচার করা,তর্ক টা এখানে। আর যেহেতু কিছু মানুষ সেনাবাহিনীকেই দায়ী করছে যুক্তি দিয়ে হোক আর অযৌক্তিক ভাবেই হোক তাই সেনাবাহিনীর উচিত পুংখানুপুংখ তদন্তে সক্রিয় সাহায্য করে প্রমান করা তাদের নির্দোষ ভুমিকা।

    1. আর্মি যে নিজস্ব তদন্ত করছে না, অথবা পুলিশকে তদন্তে সাহায্য করছে না, এই তথ্য কি আপনি ভ্যালিড কোন সোর্স থেকে পেয়েছেন?

      1. না,তারা তদন্ত করছেনা বা করছে এর কোনটাই আমার মত সাধারন মানুষের জানার কোন সোর্স থাকার কথা না!
        আমি মাত্র সুস্ঠ বিচারের প্রত্যাশা সাথে হতাশার কথা বলেছি মাত্র! কেননা বাংলাদেশে এমন অনেক উদাহরন পাওয়া যাবে যেখানে সুস্ঠ বিচার হয়না! একটা দেশ থেকে যতটা প্রত্যাশা আমরা করি প্রাপ্তি তার থেকে অনেক কম আমেদের!যাই হোক একটা কঠোর এবং সুস্ঠ বিচার হোক এটাই প্রত্যাশা !

  6. সবই বুঝলাম। কিন্তু রাতের বেলা মহীয়সী নারীটি একলা না বের হইলেই পারতেন। টিউশনি তো দিনেও করা যেত। বুঝিনা এইরকম কর্ম কান্ড তারা আরো কতদিন চালাবে!!

    1. If a man can walk without fear in the night why can’t a woman??
      is it because she is a woman??

      1. would you allow your sister to walk alone at night? if your ans is yes then i have nothing to say but pray for your your sister, if the ans is not then you must accept safety and vulnerability of a women is not same. i am not fully agreed on morsalins comment though!

    2. This morsalin guy must be interrogated….I guess he’s also trying to divert people’s mind…

    3. আপনার কথায় মনে হোচ্ছে মাথাব্যাথা হোয়েছে তো মাথাটাই কেটে ফেল!
      মেয়েদের কি আপনার মানুষ মনে হয়না? আপনার কোন প্রয়োজনে আপনি রাতে বাইরে যেতে সাহস পেলে একটা মেয়ে তার প্রয়োজনে রাতে বাইরে একা যেতে পারেনা!! আর এটাও মুখ্য না যে কারো প্রয়োজন থাকলেই মানুষ কোন কাজ করে! প্রাকৃতিক ভাবেই সবার অধিকার থাকে স্বাধীন ভাবে চলার! সেটা নিয়ে প্রশ্ন তোলা অযৌক্তিক!

    4. দিনে রেপ হলে বলবেন,
      দিনের বেলায় মেয়েটিকে ঘর থেকে বের হতে বলেছে কে?
      ঘরে রেপ হলে বলবেন,
      মেয়েটিকে মায়ের পেট থেকে বের হতে বলেছে কে?

      আপনিও যে রেপিস্টের দলে সেটাই বুঝিয়ে দিলেন

      1. নীল,, আপনাকে বলছি,,,, সব কথাই আপনার ঠিক আছে এবার বলেন তো একটা মেয়ে যদি ধর্ষনের শিকার হতে পারে তাইলে একটা ছেলে কেন ধর্ষনের শিকার হতে পারবে না?সব অধিকার তো সমান নিলেন তাইলে এই অধিকার টাও সমান করেন,,,,,ছেলেরা মেয়েদের টিস করলে মেয়েদের লাগে কেন,,,,, মেয়েরাও ছেলেদের টিস করুক,,, মেয়েরাও ছেলেদের ধর্ষন করুক,,, তাইলে তো সমান সমান হল,,,,,,

      2. আপুরা, আপ্নারা ভুল বুজতেছেন কেন ? আমরা যদি নারী স্বাধীনতার দিকে তাকাই, তাহলে আমি বলবো, নারী হিরে, মুক্তার মত মূল্যবান সম্পদ। মুক্তা হিরেকে, যেমন মানুষ মূল্য দিয়ে সাবধানে রাখে নারীদের ও সেই ভাবে পুরুষের আগলে রাখতে চায়। কিন্তু আপনাদের মত মহীয়সী নারীরা এটা মানতে চান না। আপনার আপনাদের মত স্বাধীন ভাবে চলতে চান। আবার এই দিকে কিছু কুলঙ্গার আছে আপনাদের উচিত শিক্ষা দেয়ার জন্য ওঁত পেতে বসে থাকে, সময় সুযোগ বুজে তারা তাদের শিকার উঠিয়ে নেয়। তার পর শুরু হয় আমাদের মত ভদ্র, নারী প্রেমি লোকদের আহাজারি। দুঃখ জনক, বুকপেটে গেল, কলিজা বের হয়ে যাচ্ছে, চখে পানি ধরে রাখতে পারলাম না ইত্যাদি ইত্যাদি । এই ভাবেই সমাজে অস্থিরতা বিরাজ করাটাই স্বাভাবিক । দয়া করে আমাকে ভুল বুজবেন না। আমি নারী স্বাধীনতার পক্ষে আছে। কিন্তু তাদের বাজারের পণ্য হিসেবে দেখতে আমার ভালো লাগে না।

      3. শাহাদাত ভাই আপনাকে বলছি….।

        তাহলে রাস্তায় যদি কোন হিরে মানিক পড়ে থাকতে দেখেন তাহলে আপনি কি করবেন..?? চুরি করে ব্যবহার করবেন নাকি অন্যের সম্পত্তিকে নিরাপদে অন্যের কাছে ফেরত দিতে সাহায্য করবেন..???

        যদি আপনার উত্তর প্রথমটা হয় তাহলে আপনার শিক্ষাগত ত্রুটি আছে। আর ২য় তা হলে এই কমেন্ট করতেন না…।

    5. তোর মত শূয়র গুলো সব সময় আওতার বাইরে থেকেই এসব কমেন্ট করে। তোর ভাগ্য ভাল তুই সামনে নাই। তোর মত বাস্টার্ড দের জন্যই আজ এই অবস্থা।

    6. ভাই আমি জতটা জানি মেয়ে’টা বিকেল ৩.০০-৬.০০ পর্যন্ত টিউশনি করে।যদি মাথায় কিছু থাকে তাহলে ভাবুন।

  7. o achha tahole apni bolte chachhen meyera diner bela harassed hoy na?keno goto pahela boishakhe tsc te j incident ta ghotechilo setaoto to bikal time a ghotechilo r koto manush chilo sekhane tarporo ei incident ghoteche..r meyera ohoroho harassed hoche seta shokal hok r rat hok.setar jonno to amra meyera ghorer modhhe chup kore boshe thakbo na.ekhane shomoshha meyeder diner bela shondha bela ber hoa noy,shomoshha hochhe manusher mentality @ Morsalin Rahman

  8. A very shrewd and organized writing to divert the proples mind, every word is written thoughtfully, like Sherlock Holmes is analyzing to do advocacy for a certain group 🙂
    A paid write up most probably… 🙂 well done…

  9. বিশ্লেষণটা চমৎকার,

    আপনি যে কসম খেয়েছেন সেটার প্রেক্ষিতেই বলছি আমাদের সেনাবাহিনীর চরিত্র পাহাড়ের দিকে তাকালেই বুঝা যায় তারা বর্বর পাকি হানাদারদের অনুসারী কিনা।

    1. তা দাদা সেনাবাহিনীর বিরুদ্ধে ভুয়া মিথ্যাচার করে কত ইসারায়েলি রুপি কামান?

  10. আমার কতগুলো প্রশ্নঃ
    একঃ সোহাগী তো সেনাবাহিনীরই এক বেসামরিক সদস্যের মেয়ে। নিজ সদস্যের মেয়েকে সেনাবাহিনী কেন মারবে?

    দুইঃ যারা বলছেন সেনাবাহিনীর গেট দিয়ে কাকপক্ষীয় ঢুকতে পারবে না, আমি সিওর তাদের রেফেরেন্স পয়েন্ট হচ্ছে জাহাঙ্গির গেট। কুমিল্লা সেনানীবাসে পার্শ্ববর্তী গ্রাম থেকে অন্তত অন্তত ১৩/ ১৪ টা পায়ে হাটা রাস্তার সংযোগ আছে। যেগুলো বন্ধ করে দিলে স্থানীয় লোকজনকে অনেক ঘুরে মেইন রোডে যেতে হয়। এগুল বন্ধ করা নিয়ে আগেও অনেক গন্ডগোল হয়েছে এবং শেষে নিরাপত্তা কম্প্রোমাইজ করে নামে মাত্র বেড়া বা পর্যবেক্ষনে রাখা হয়েছে।

    তিনঃ হাসি পায় শুনে, অনেকে বলছেন সেনাবাহিনী দলীয়ভাবে এটা করেছে। সোহাগী তো সেনাবাহিনীর সদস্যেরই সন্তান। কি কারনে সেনাবাহিনী সংগবদ্দ্ব ভাবে এটা করবে? What is the motive and what is the benefit? তবে হা, ব্যক্তিগত কোণ কারনে কোণ সেনাসদস্য এটা করে থাকতে পারে। সেটা প্রমান পেলে অবশ্যই ব্যবস্থা নিতে হবে এবং সেনাবাহিনী নিবেও। পার্বত্য চট্রগ্রাম নিয়েও এরকম ধর্ষনের কথা বলা হয়। সেনাবাহিনীর কেঊ কি কষ্ট করে এ তথ্যটি প্রকাশ করবেন যে পার্বত্য চট্রগ্রামে শুধুমাত্র মেয়েদের গায়ে স্পরশ করার জন্য কতজন চাকুরী হারিয়েছে। তাহলে এরা বুঝতো এ বিষয়ে বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর প্রাতিষ্ঠানিক অবস্থান কি?

    চারঃ সেনানীবাসে কি সেনাসদস্যদের স্ত্রী, মা, বোন, মেয়ে নেই, যাদের সামনে সেনাবাহিনী দলগতভাবে এট করবে?

    পাচঃ মি নীল, সম্ভবত সেনাবাহিনী নিয়ে আপনার ব্যাক্তিগত রাগ থাকতে পারে। আপনার মত অনেকেরই আছে কারন এই সেনাবাহিনী বিভিন্নসময় দেশে চোর ডাকাত দুরনীতিবাজ এদের দমনে নিয়োজিত হয়েছে। এবং এরা যে কি ধরনের খারাপ হতে পারে তা বোধ হয় আপনার চেয়ে এখানে ভাল কেউ জানে না। তারা ব্যক্তিগত রাগ থেকে এ ধরনের কথা বলে। ভাল বলেছেন এদের দেখলেই বুঝা যায় এরা বরবর পাক বাহিনীর অনুসারী কিনা? তাও বলেন নি এরা ৭১ এ একসাথে রেইপ এবং বাঙ্গালী নিধন করেছে। অনুসারী হলে তো তাই করত। অনুসারি না, বাংলাদেশ সেনাবাহিনী পাক বাহিনীর প্রান সংহারি যার জন্য আজকে আপনি স্বাধীনভাবে কথা বলতে পারছেন।

    1. ক্ষমা করবেন স্যার।
      সেনাবাহিনীর বিরুদ্ধে ব্যাক্তিগত রাগ থাকার কোন কারণ খুঁজে পাইনি
      //সেনাবাহিনীর কেঊ কি কষ্ট করে এ তথ্যটি প্রকাশ করবেন যে পার্বত্য চট্রগ্রামে শুধুমাত্র মেয়েদের গায়ে স্পরশ করার জন্য কতজন চাকুরী হারিয়েছে। তাহলে এরা বুঝতো এ বিষয়ে বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর প্রাতিষ্ঠানিক অবস্থান কি?//
      এটা প্রকাশ হবার পরেই নাহয় কথা বলবেন…

      একাত্তরের প্রসঙ্গ টানলে আপনাকে আজাদ স্যারের সেই কথাটি স্মরণ করতে বলব
      /একবার মুক্তিযোদ্ধা মানেই চিরকাল মুক্তিযোদ্ধা নয়/

      আর আমি এখানে পাহাড়ের দিকে তাকাতে বলেছি শুধু।
      কুমিল্লা সেনানিবাস এবং তনুকে নিয়ে লিখা পোস্টের সাথে আমিও লেখকের সাথে একমত,
      সেটা আগেই বলেছি।

      1. শুধু প্রচারণা ও প্রোপাগান্ডার চশমা খুলে পাহাড়ের দিকে নিজের বিচক্ষণ দৃষ্টি দিয়ে তাকানোর কথা আমিও বলি। সাথে সাথে এও বলি যেন আমরা অপপ্রচারের শিকার না হই। যেকোনো তথ্য গ্রহণের আগে আপনাকে প্রথমেই বুঝতে হবে তথ্যের উৎস, এবং তা ছড়ানোর উদ্দেশ্যটি বস্তুনিষ্ঠ ও সৎ কিনা। অন্যথায় ভুল ও উদ্দেশ্য প্রণোদিতভাবে ছড়ানো তথ্যে পিছলে গিয়ে আপনি অপবিত্র হবেন। যেমনটা ১৯৭১ সালে পাকিস্তান সেনাবাহিনীর এদেশীয় দোসররা হয়েছিলো। তাদের সমস্যা ছিল তারা বাংলাদেশীদের কথা বিশ্বাস করেনি, করেছিলো পাকিস্তান সেনা কতৃপক্ষের ছড়ানো কথা।

  11. বুঝলাম সেনাবাহিনী ধোয়া তুলসী পাতা!!!
    কিন্তু যারা নিজেদের জেনারেল কে বাঁচাতে এগিয়ে আসতে পারেনি, নিজের এলাকায় হত্যাকান্ড কিংবা লাশ ফেলে রাখা ঠেকাতে পারেনি অন্যকথায় নিজেদের মেয়েকে বাচাতে পারেনি, যারা কন্ট্রাক্ট কিলিংএ জড়িত, এমন সেনাবাহিনী দিবে আমাদের নিরাপত্তা!!!???

    এদের শুধু ভাড়া খাটালে কী এদের উপর করা বিপুল বিনিয়োগ উঠে আসবে???

    1. আপনি কিছুই বুঝেননি। শুধু রিডিং পড়ে পাঠ্য বই ছাড়া অন্য কোন বিষয় শেখা যায়না। দ্রূতপঠন না করে মন দিয়ে পাঠ করলে আপনি এই কমেন্টই করতেন না।

      যাহোক, সম্ভবত আপনি রাজনৈতিক কারণে সেনাবাহিনীর উপর ক্ষুব্ধ। আমার পোস্টটি নেহায়েত সমসাময়িক ঘটনার উপর লেখা একটি সচেতনতামূলক পোস্ট। আর্মি কবে তুলসী পাতা ছিলো, আর কবে বাসক পাতা হয়েছে, তার চেয়ে জরুরী বিষয়য় আমরা যেন আমাদের নিজেদের আর্মির মুখোমুখি না দাঁড়াই, কারণ তারা কোনভাবেই আমার শত্রু না।

      আমি ভেবেছিলাম আমার মেসেজটা ক্লিয়ার। আর তা হচ্ছে, আর্মির সাথে শত্রু শত্রু খেলতে গিয়ে তৃতীয় কোন গোষ্ঠীর ক্রীড়নক যেন আমাদের না হতে হয়, যার দ্বারা দেশ ক্ষতিগ্রস্ত হয়। অথচ আপনার কথায় মনে হচ্ছে, সেনাবাহিনী যে কোন বিষয়ে নির্দোষ থাকতে পারে, এই বিষয়টাই আপনি মানতে রাজী না। এবং এই ধারণায় আপনি এতোই বশবর্তী যে আপনি পরোয়া করছেন না যে, আর্মি বিদ্বেষী হয়ে আপনি অন্যের ক্রীড়নক হয়ে পড়ছেন। এই দুর্ভাগ্য দেশের নয়, একান্তই আপনার।

      1. আপনি ভুল করেছেন এই পোস্টটি লিখে। আমি নিজেও অনেক বিষয়ে লিখতে গিয়েও লিখি না, কারন সেই লেখা বোঝার মতো ইচ্ছা হ​য়তো আমার দেশের মানুষের নেই। আমার দেশের মানুষ যুক্তি দিয়ে কথা বলতে পছন্দ করে কিন্তু যুক্তি শুনতে বা বুঝতে পছন্দ করে না। আপনি হতাশ হবেন বারবার।

      2. মারুফ ভাই আমি আপনার সাথে একমত। তবে আমি নেহায়েত দায়িত্ববোধ থেকেই নিবন্ধটি লিখেছি। আমি কোন প্রতিদানের আশা এই জন্য করিনা যে আমি একজন দরবেশ! বরং আমার মধ্যে প্রতিদানের আশা এজন্য নেই কারণ আমি জানি আশা করলে আমি নিরাশ হবো।

  12. amra ekhane onek guniban bektira jukti khondon korchi……k ba kara ai ghotonatir shathe jorio eta nia….that’s good!
    but kaw k ak barer jonno bolte dekhini ai tonur moto onno hajaro tonur jonno amra ki podokhep nite pari……..k ba kara ai ghotonatir shathe jorito tader sasti ai banglar matite na holew……allah-r kache thiki onek boro oporadhi hoa ache…….allah jodi chan tader sasti ai duniatey hobe ete kono shondeho nai………tobe amra bangali kotha pechate amra onek beshi pochondo kori…. eta hoche amader shovhabgoto boishishtho…….ai gotonatir por theke amader desher hajaro tonu akhon ghorer kone boshe hoyto oneke etay vhabche allah aami kano tmr ai prithibite may hoa jonmo niachi…….ami akjon purus hoa bolbo amra pusrus jatita asholey koto ta nisthur hote pari 😦
    guti koak purusder jonno amra puro purus jati tai kharap hoa achi may der kache……
    khoborer kagoj khulley erokm onek toni key dekhte pai emon ghotonar shikar…….r koto??? 😦
    amader desh ti peache sadhinota….kintu sadhinota payni desher manus…….amader deshey cholche grihojudho amra amader desher manusgulor shathe judho korchi…….tahole amra jadhinota pelam kothay???
    dhorshon, hotta sai 71 a chilo sai dhorshon,hotta akhono cholche tahole amra kothay pelam shadhinota?????
    ai proahno gulo hoyto ajibin prosno akarey thakbe……jotodin amra eke opree sadhinota kere nawar chesta kori……….amra bangalira nijeder futia tulte peshi pochondo kori……..k kotota bolte pari.
    kintu kothagulo kotota karjokor hobe seta kokhono vhabina………aj toni hoyto amader dike takia ache tar dunia theke chole jawar jonno amari moto rokte manshe gora manush gulo ki korche???
    sha to opekhay ache amar moto hajaru tonur jate emon poristhir r shikar na hote hoy…..gotonati hoyto amader chokher araley ghorte giache kintu……gotonati ghota por amra kaw e ar kono uddek nite parchina akhono……..lojja hoy kotha gulo bolte………ami amar vhai der bolbo ektu shocheton hoy abong amra aj thekey uddegi hoy…….jate r kokhono amader emon gotona shunte na hoy…….amra ai shadin rasthe shadin vhabe bachte chai…….desher shorkar r desher manusder kache ar kichuy chawar nai………Allah tala toni k behesto nosif korun……#AMIN!

  13. amra ekhane onek guniban bektira jukti khondon korchi……k ba kara ai ghotonatir shathe jorio eta nia….that’s good!
    but kaw k ak barer jonno bolte dekhini ai tonur moto onno hajaro tonur jonno amra ki podokhep nite pari……..k ba kara ai ghotonatir shathe jorito tader sasti ai banglar matite na holew……allah r kache thiki onek boro oporadhi hoa ache…….allah jodi chan tader sasti ai duniatey hobe ete kono shondeho nai………tobe amra bangali kotha pechate amra onek beshi pochondo kori…. eta hoche amader shovhabgoto boishishtho…….ai gotonatir por theke amader desher hajaro tonu akhon ghorer kone boshe hoyto oneke etay vhabche allah aami kano tmr ai prithibite may hoa jonmo niachi…….ami akjon purus hoa bolbo amra pusrus jatita asholey koto ta nisthur hote pari 😦
    guti koak purusder jonno amra puro purus jati tai kharap hoa achi may der kache……
    khoborer kagoj khulley erokm onek toni key dekhte pai emon ghotonar shikar…….r koto??? 😦
    amader desh ti peache sadhinota….kintu sadhinota payni desher manus…….amader deshey cholche grihojudho amra amader desher manusgulor shathe judho korchi…….tahole amra jadhinota pelam kothay???
    dhorshon, hotta sai 71 a chilo sai dhorshon,hotta akhono cholche tahole amra kothay pelam shadhinota?????
    ai proahno gulo hoyto ajibin prosno akarey thakbe……jotodin amra eke opree sadhinota kere nawar chesta kori……….amra bangalira nijeder futia tulte peshi pochondo kori……..k kotota bolte pari.
    kintu kothagulo kotota karjokor hobe seta kokhono vhabina………aj toni hoyto amader dike takia ache tar dunia theke chole jawar jonno amari moto rokte manshe gora manush gulo ki korche???
    sha to opekhay ache amar moto hajaru tonur jate emon poristhir r shikar na hote hoy…..gotonati hoyto amader chokher araley ghorte giache kintu……gotonati ghota por amra kaw e ar kono uddek nite parchina akhono……..lojja hoy kotha gulo bolte………ami amar vhai der bolbo ektu shocheton hoy abong amra aj thekey uddegi hoy…….jate r kokhono amader emon gotona shunte na hoy…….amra ai shadin rasthe shadin vhabe bachte chai…….desher shorkar r desher manusder kache ar kichuy chawar nai………Allah tala tonu k behesto nosif korun……#Amin!

  14. bujlam na kichhui..kintu tonu hottar por cantonment e jara boshobash koren tader kachh theke keno mobile phone jobdo kora holo? kemoi ba tonur poribar ke khaas jomi ghor r taka deya holo?FB te ekta mobile number 019….. tinu fb te status diyechhilo ei number theke ekjon tonu ke disturb korbo…ei number er shutro dhorei ghatok k dhora jabey…tuition korey bashae ferar pothei khun hoyechhe….eta fact…tonu nijeke bachanor apran chesta korechhe..she fought to the last..chhera urna..elomelo chul ..egulo tar proman…dujon dujon kei chinto…BD te emon kono lok er kolija eto boro na j hotta korey shena nibash e lash niye ashbe…enmon buker pata karo nei..

  15. ধন্যবাদ, জনাব ইমরান চৌধুরী, আপনার দৃষ্টিভঙ্গি ও তা প্রকাশ করার জন্য। ঘটনাটি নিয়ে সেনাবাহিনীর প্রতি ক্ষুদ্ধ মানুষদের বলছিঃ
    জাতিসংঘ শান্তিরক্ষা মিশনে সুদুর কংগোতে থেকে তনু হত্যার নির্মম বিষয়টি আমি প্রথম জানতে পারি দেশে থাকা আমার সহধর্মিণীর কাছে। আমাকে ঘটনাটি বলার সময় তার কন্ঠে ছিল অবিশ্বাস, ভয়, জড়তা ও অনিশ্চয়তা। যেন সেও আমার কাছে জানতে চাইছিল কেন হল এমনটি। খুবই বিব্রতকর অবস্থা।এমন পরিস্থিতি প্রতিটা সেনাসদস্যইই তাদের প্রিয়জনদের থেকে সম্মুখীন হয়েছেন এ ঘটনাটির পর। কারন? আমরা সবাই এক পোশাক পড়ি। তবে আমরা সাধারণ মানুষেরই ভাই, পিতা, বর বা নিকটজন। সবচেয়ে বড় কথা আমরাও সাধারন মানুষের মতই। আমাদের মাঝেও ভলো ও মন্দ লোক রয়েছে। তবে পার্থক্য হল সাধারন মানুষের মত আমরাও দেশের সংবিধান এর আওতাভুক্ত হবার পর এর চেয়েও অনেক কঠিন সেনা আইনের ও আওতাধীন যার প্রয়োগ অত্যন্ত কঠোর। তাই নিশ্চিত থাকুন কোন সেনা সদস্য এ ঘটনায় যুক্ত থাকলে তাকে খুজে বের করে যথোপযুক্ত শাস্তি প্রদান করা হবে। আর দোষী ব্যক্তি বের হবার পূর্বে অযথা কোন সংগঠন কে দোষারোপ করা থেকে বিরত থাকুন। আমরা আপনাদের জন্যই, আপনাদের নিয়েই সৃষ্ট। কিছু মদদপুষ্ট লোক যে কোন ঘটনাকেই পূজি করে সেনাবাহিনীকে সাধারণ জনগন থেকে পৃথক করে ফেলতে চায়। সচেতন নাগরিক হিসেবে এটা আপনার আমার নিজের দায়িত্ত ও সিদ্ধান্ত আমরা সে ফাঁদে পা দেব কি না?।

  16. ক্যান্টনমেন্ট এ থাকা আর্মির ছেলে সন্তানরা ও তো এটা দলগতভাবে করতে পারে!! 😱😱
    তারা তো আর এতকিছু নাও বুঝতে পারে এবং আর্মির মতো এতো এক্সপার্ট না! 😒😒😒

    1. হ্যাঁ সেটা খুবই সম্ভব। কিন্তু এক্ষেত্রে আমাকে যেকোনো সিদ্ধান্ত নিতে হবে ঘটনার পরবর্তী পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া দেখে। এখন সোহাগীর ব্যাপারে কেউ ভাবছে না। সবাই আর্মিকে জব্দ করার বিষয়েই ভাবছে। আর এই তৎপরতায় যারা সামনের সারিতে তারা বহুদিন ধরে সামরিক বাহিনী বিদ্বেষী হিসেবে পরিচিত। ফলে এটাকে সাধারণ কাণ্ডজ্ঞান অনুযায়ী একটি স্যাবোটাজ হিসেবেই ধরে নেয়া সঙ্গত, কোন সেনা-সন্তানের লাম্পট্যের বিষয় নয়।

      প্রদোষ মিত্র একবার লালমোহন গাঙ্গুলিকে কি বলেছিলেন জানেন? তিনি বলেছিলেন, অপরাধের শেকড় খুঁজতে গিয়ে আপনি যদি প্রথমেই অপরাধী সিলেক্ট করে ফেলেন, তাহলে আপানার পক্ষে সত্য অনুসন্ধান করা সম্ভব হবেনা। আপনাকে অবশ্যই প্রথমে ঘটনা ও তারপর তার আশেপাশের বিভিন্ন প্রতিক্রিয়া ও অন্যান্য আনুষঙ্গিক বিষয়গুলোকে বিশ্লেষণ করতে হবে। তখন দেখবেন, আপনিও সহজেই অপরাধী সনাক্ত করতে পারবেন…।

  17. I read this article carefully. I think you have given some wrong information. First, the place is not open for all. I am sure. Even you cannot let me show the show the place via google map( such is the security). It is an expected response from common people. Bangladesh Army relies on the money allocated to them and a citizen has every right to demand explanation of this incident . ISPR is an organ whose duty is to give us information. They have utterly failed in this issue. Bangladesh army is not only a defense force it is more of a corporate organization. Starting from chocolate to Taxicab it competes with private sectors and do formal business. Therefore, you must be more open towers common people. Even if it is a conspiracy, we cannot discard lack of professionalism from the side of army.

    1. আপনি হয়তো সেখানে বাঁধার সম্মুখীন হয়েছেন। তবে আমি মোট চারবার সেখানে গেছি। দুইবার বার্ডে, একবার এক বন্ধুর বাড়ীতে, আরেকবার ওয়ার সিমেট্রিতে। অলিপুরের ওই স্থানে আমি একবারই গেছিলাম ঘুরতে বিকাল সাড়ে তিনটা চারটার দিকে হবে। যে স্থানে মেয়েটির লাশ পাওয়া গেছে, সে স্থানটা কিছুটা নির্জন ও জঙ্গলাকীর্ণ। এর কাছেই সেনানিবাসের সীমানা শেষ। এই স্থানের কিছুটা আগে একটা পোস্টে দায়িত্বরত সেন্ট্রি আমাদের পরিচয় জানতে চেয়েছিল। আমি দেখেছি, সেই স্থানে কেবল বেসামরিক ব্যক্তিদের যাতায়াতই নেই, বরং আশেপাশের লোকজন সেখানে এসে লাকড়ি কুড়ায়। সেই স্থানে সেনানিবাসের জন্য কৌশলগত ও স্পর্শকাতর তেমন কোন স্থাপনা আছে বলে মনে হয়না।

      আপনি সেনাবাহিনীর কর্পোরেট চরিত্রের কথা বলেছেন। এতে দ্বিমত করার কিছু নেই। সেনাবাহিনীকে ক্ষমতা লিপ্সা থেকে দূরে রাখার নিয়তে বিগত শতকের নব্বই দশক থেকে এই কর্পোরেটকরণ নীতি গড়ে ওঠে। আমি এর সমর্থক নই।

      আর গুগল ম্যাপে জিনিসটা দেখা না যাওয়া মানেই এটা কৌশলগত এলাকা নয়। পুরো সেনাছাউনিকেই গুগল ম্যাপে ঝাপসা করে রাখা দরকার। কিন্তু সর্বক্ষেত্রে তা হয়না। আমি বেশ কিছুদিন গুগল আর্থে যাই না। তবে আমি দুঃখের সাথে খেয়াল করেছি, গুগল আর্থে বেশ কিছু জঙ্গিবিমান, এমনকি রণতরীও গোচরীভূত হয়, যা আমার মতে দুঃখজনক অসাবধানতা। এখন যেহেতু সেগুলো গুগল আর্থে দেখা যায়, তার মানে কি সেসব সমরাস্ত্র গুরুত্বহীন? মোটেই না।

      1. আর আইএসপিআরের ব্যাপারে যা বলেছেন, তা ঠিক আছে। কিন্তু সেনাবাহিনী কোন গণতান্ত্রিক প্রতিষ্ঠান নয়, যে তারা একদম ঠিকঠাক সব গণতান্ত্রিক মূল্যবোধ অনুসরণ করে সব খবরাখবর দেবে।

        পৃথিবীর বেশিরভাগ সামরিক বাহিনীর কাছে যেকোনো তথ্য বা নথি গোয়েন্দা তথ্য হিসেবে বিবেচিত হয়। আর তা প্রকাশে প্রায়শই তারা গোয়েন্দা তথ্যের পাচারের সমতুল্য বলে মনে করে। কেন এদের মধ্যে এই কমন ওরিয়েন্টেশন কাজ করে, সে ব্যাখ্যা আমার কাছে নেই।

        আমি শুধু এই পোস্টের দ্বারা এই বার্তা দিতে চেয়েছি যে, আমাদের ও সামরিক বাহিনীর মুখোমুখি অবস্থান নেয়ার ছুতায় তৃতীয় কোন পক্ষ যেন লাভবান না হতে পারে। আমি প্রতিষ্ঠান হিসেবে সেনাবাহিনীর সাফাই গাইতে আসিনি। আমি কেবল একটি ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে আমার অভিমত ব্যক্ত করেছি।

        আপনাকে ধন্যবাদ।

      2. বাংলাদেশ প্রতিরক্ষা মণত্রণালয় গুগলকে স্পর্শকাতর বিবেচনায় সে সমস্ত স্থান গুগলকে ম্যাপের আওতায় না রাখার জন্য বলেছে যা তাদের বিবেচনায় গুরুত্তপূর্ণ এবং তাদের আওতাধীন। যেহেতু স্থানটি তাতে নেই সেহেতু কি বুঝা যাচ্ছে তা নিশ্চয়ই বুঝতে পারছেন।এটা শুধু বাংলাদেশ নয় ( আরো অনেক দেশেই অনুসরণ করা হয়) আর, আমি ৩ দিন কুমিল্লা সেনানিবাসের ভেতর ছিলাম। একজন কর্মকর্তার গেস্ট হিসেবে। আমার যদি ভুল না হয়ে থাকে তাহলে স্থানটি নিরাপত্তা দেয়ালের ভেতরে, বাইরে নয়। আমার সবচেয়ে প্রিয় বন্ধুদের মাঝেও কয়েকজন সেনা বাহিনীতে আছেন । আমি কোন ব্যক্তিগত আক্রোশ থেকে এ কথা বলছি না; বরং একজন বিবেচক মানুষ হিসেবে আমার অসন্তোষ প্রকাশ করছি।

      3. আইএস পি আর গণতান্ত্রিক হবে এমনটা অন্তত বাংলাদেশে আশা করা যায় না। এমনকি সামরিক বাজেট কালকে থেকে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র এর মত জন সমুখে প্রকাশ করবেন এমনটাও আমাদের মহামান্য সামরিক কর্মকর্তাদের থেকে আশা করা যায় না। আর, রাষ্ট্রীয় গুরুত্তপূর্ণ তথ্য আর ক্যান্টনমেন্ট এর ভেতর ধর্ষণ -হত্যা যে এক বিষয় নয় আশা করি এইএসপিআর এর মত আপনি সেটা দেরিতে হলেও বুঝবেন।

      4. ধন্যবাদ। যদি ধরেও নেই খুনটা অন্যত্র হবার পর লাশ এনে এখানে ফেলা হয়নি, তথাপি ক্যান্টনমেন্টের ভেতরে হত্যা ধর্ষণ, এবং সেসবকে পুঁজি করে সেনাবাহিনীর বিরুদ্ধে সংঘবদ্ধ প্রচারণার দ্বারা যে দেশের শত্রু কোন স্বার্থান্বেষী মহল ফায়দা লুটতে পারে, কোন একদিন এটাও আপনার বোধগম্য হবে বলে কামনা করছি।

      5. দেশের শত্রু ফায়দা লুটবে সেজন্য আসুন ধর্ষণ আর খুনকে বৈধতা দেই!!

      6. খুন ধর্ষণকে বৈধতা দেয়ার কথা বলছি, নাকি বড় একটা ফাঁদে পা না দেয়ার কথা বলছি, এই সহজ কথাটা আপনি আর বুঝতে পারবেন, এমনটা আশা আর করিনা। আপনি একটা ঘটনার পেছনের মূল কুশীলব সম্পর্কে যেহেতু কিছু বিচ্ছিন্ন তত্ত্ব কথাকে পুঁজি করে সিদ্ধান্ত নিয়ে ফেলেছেন সেহেতু আপনি সেই ধারণাকেই আঁকড়ে থাকুন। আশা করবো আমাদের মধ্যে আর কথা হবে না।

      7. আমি সিদ্ধান্ত নিচ্ছি না মোটেও। রাষ্ট্রের ১৮৩৮৩ কোটি টাকা দিয়ে যে বাহিনী পোষা হচ্ছে ( যেখানে ১৬ কোটি মানুষের সস্থ্য নিশ্চিত করা হচ্ছে ১২৫৬০ কোটি টাকা দিয়ে!) সে বাহিনীর সুরক্ষার মাঝে থেকে একজন মানুষ খুন হবে আর এ ব্যাপারে ব্যাখ্যা পাব ৪ দিন পর! দুখিত আমি সংখুব্ধ না হয়ে পারছি না!

      8. আপনি অবশ্যই সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। এবং আর্মি ও ১৬ কোটি মানুষের প্রতি ব্যাপক ভালোবাসার জন্য সোহাগীর জন্য কাঁদছেন। যার জন্য অন্য কোন ধর্ষণের ঘটনা আপনার চোখে পড়বে না। চিত্তে নেই রাজকোষ থেকে জনগণের টাকা লুট হয়ে যাবার ঘটনা। ২০১৫-১৬ অর্থবছরে বাজেটে শীর্ষ বরাদ্দ ছিলো জনপ্রশাসনে। জনগণের টাকার মর্ম বুঝেন বলেই আপনি সে বিষয়ে নীরব।

        আপনি স্রেফ কথার পিঠে কথা বাড়ানোর জন্যই শ্লোগান দিচ্ছেন। এতে আপনি হয়তো মানসিক প্রশান্তি পান। কিন্তু আমার অর্থহীন তর্কাতর্কিতে অরুচি আছে। আমি একে অভদ্রতা বলেই জানি। আমি আগে বৃথা আশা করেছিলাম যে আপনি এখানে কথা বাড়াবেন না। সুতরাং যান ভাই আপনি জিতলেন, আমি হারলাম। 😎

  18. যেহেতু সামরিক বাহিনী সরাসরি গণ মাধ্যমে কোন বিবৃতি দেয় না। আমার মনে হয় ঘটনা পপরই আইএস পিআর থেকে গণ মাধ্যমে একটা বিবৃতি দেওয়ার প্রয়োজন ছিল। আমরা বাঙালিরা কারো কাছ থেকে সহানুভুতি ও আশ্বাসের বানী পেলে অনেকটাই চুপ করে যাই।

  19. Apni BDR ar pilkhana mutinir kotha bolte vule gasen. Khub sundor kichu kothar maddhome senabahinir support chara r temon kichu pelam na aikhane. Amar besh kichu friend ache senabahini te. So amio jani ki hoy okhane.

    1. প্রায় ৩ লাখ সেনার মধ্যে ‘বেশ কয়েকজন ফ্রেন্ড’ জানার উৎস হিসেবে বেশ ভালো। যাহোক, ‘বেশ কয়েকজন ফ্রেন্ডের’ মাধ্যমে আপনি নিশ্চয়ই জানেন, কুমিল্লা ক্যন্টের সীমানা প্রাচীর তৈরির কাজ কবে হবে, এবং পীলখানার তথাকথিত মিউটিনির পেছনে কে দায়ী? অন্তত শেষোক্ত বিষয়টা সম্পর্কে যে আপনার ‘বেশ কয়েকজন ফ্রেন্ড’ থেকে আপনি কিছুই জানতে পারেননি, তা বুঝা যাচ্ছে!

  20. পড়লাম যুক্তি ও বিপক্ষ মতামত ও দেখলাম, সার অংশে বলতে চাই আমাদের সেনাবাহিনীকে কলঙ্কিত করে উদ্দেশ্য হাসিল করাই মূল উদ্দেশ্য ।তনু হত্যাকে ইস্যু বানিয়ে সেনাবাহিনীকে কোণঠাসা করাই একমাত্র লক্ষ বলে আমি মনে করি। আমাদের ক্ষমতা তো ও এখন আমাদের হাতে নেই তাই অনেক কিছুই সম্ভব হতে পারে এই দেশে।

  21. মি : আপনার পোস্ট এ কুমিল্লা সেনা নিবাসের কৌশলগত অবস্থান সম্পর্কে যা বলা হয়েছে তা বিশ্লেষন করে আমার মনে হচ্ছে সোহাগিকে পাশের দেশের বিশেষ ভাবে প্রশিক্ষিত বাহিনির এক বা একাধিক সদস্য রেপ এবং মার্ডার করে লাশ ক্যান্টনম্যান্ট এর ভিতরে ফেলে গেছে। উদ্দেশ্য হলো আমাদের সেনাবাহিনী কে দূর্বল করে এদেশ দখল করা।

  22. মি : ইমরান
    আপনার পোস্ট এ কুমিল্লা সেনা নিবাসের কৌশলগত অবস্থান সম্পর্কে যা বলা হয়েছে তা বিশ্লেষন করে আমার মনে হচ্ছে সোহাগিকে পাশের দেশের বিশেষ ভাবে প্রশিক্ষিত বাহিনির এক বা একাধিক সদস্য রেপ এবং মার্ডার করে লাশ ক্যান্টনম্যান্ট এর ভিতরে ফেলে গেছে। উদ্দেশ্য হলো আমাদের সেনাবাহিনী কে দূর্বল করে এদেশ দখল করা।

Leave a comment